দুপচাঁচিয়া উপজেলার পোঁওতাতে ধর্ষণের ঘটনা গ্রাম্য সালিশ এর মাধ্যমে জরিমানা করে ধামাচাপা দিয়েছেন গ্রামের মাতব্বরেরা
ভুক্তভোগী রত্না বেগম (২৬) জানান গত ৭ নভেম্বর রাত ১২ টায় তাদের বাড়ির বাইরের টয়লেটে গেলে জোর করে তাকে ধর্ষণ করে একই গ্রামের জাহাঙ্গীর (৩৮) ।রত্না বেগম পোঁওতা দক্ষিণপাড়া গ্রামের রফিকুল ইসলামের (৩২) স্ত্রী। তিনি আরও জানান ৭ বছর যাবৎ তাকে বিভিন্ন ভাবে প্রলোভন দেখাচ্ছিলেন ধর্ষক জাহাঙ্গীর । বিষয়টি জানাজানি হলে , পোঁওতা গ্রামের মাতব্বর আব্দুর রহমান ,হান্নান মন্ডল ও লোকমান সর্দার, রত্না বেগম ও তার স্বামী রফিকুলকে নানা ভাবে ভয়ভীতি দেখান । গ্রাম্য সালিশ এর মাধ্যমে জাহাঙ্গীরকে শাস্তি দেওয়া হবে বলে জানান এবং ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন। পরে রত্না বেগমের স্বামী রফিকুল আইনের শরণাপন্ন হতে চাইলে গ্রামের মাতব্বর আব্দুর রহমান ,হান্নান মন্ডল , লোকমান সর্দার গত ১০ নভেম্বর গ্রাম্য সালিশ এর মাধ্যমে ধর্ষক জাহাঙ্গীরের ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন এবং ঘটনাটি ধামাচাপা দেন , বলে জানান রত্না বেগমের স্বামী রফিকুল। ইতি পূর্বে গ্রাম্য সালিশ এর মাধ্যমে বিভিন্ন বিচারে প্রায় ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করে আত্মসাৎ করেছেন গ্রামের মাতব্বর আব্দুর রহমান ,হান্নান মন্ডল , লোকমান সর্দার। গ্রাম্য সালিশ ন্যায় সঙ্গত না হওয়ার কারণে সমাজ জীবনে প্রতিহিংসা ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে গ্রাম্য সালিশে, সালিশগণ যে পক্ষ থেকে টাকা বেশি প্রায় সেই পক্ষে রায় চলে যায়। গ্রাম্য সালিশগণ যে সমস্যা একদিনে করতে পারে তা না করে বার বার বসে এবং দুই পক্ষ থেকে টাকা আত্মসাত করে। গ্রাম্য সালিশ ব্যবস্থায় মিথ্যা সাক্ষীর প্রচলন বেশি হওয়ার কারণে জনগণ ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।